গর্ত খুঁড়ে ইঁদুর নিধন
গর্ত খুঁড়ে ইঁদুর নিধন উঁচু ভূমি ও রাস্তাঘাটের, খালের পাড়ে ইঁদুর গর্তর্ খুঁড়ে বেড় করা খুব কঠিন। যেখানে ইঁদুরের গর্তের পরিধি কম সেখানে গর্ত খুঁড়ে ইঁদুর নিধন করা যায়। দশমিনা বীজ বর্ধন খামারে জোয়ারের পানির কারণে ইঁদুরের গর্তের পরিধি খুব বেশি বড় হয়না। এজন্য গর্ত খুঁড়ে ইঁদুর দমন করা যায়। গর্ত খুঁড়ার সময় গর্তের চারদিক জাল দ্বারা ঘিরে নিলে ইঁদুর সহজে পালাতে পারে না।
ফাঁদ পেতে ইঁদুর দমন
নানা রকমের ফাঁদ বাজারের পাওয়া যায় যেমন জীবন্ত ইঁদুর ধরার ফাঁদ (তারের খাঁচা ফাঁদ ও কাঠে তৈরি ফাঁদ) এবং কেচি কল (Snap trap) এবং বাঁশের তৈরি ফাঁদ। কেচিকল ব্যবহার করা যেতে পারে। ফাঁদে টোপ হিসেবে নারিকেল ও শুঁটকি মাছ ব্যবহার করা যেতে পারে। কেচি কল দ্বারা ছোট-বড় সব রকমের ইঁদুর জাতীয় প্রাণী নিধন করা যায়। তবে এক বা দুইটির পরিবর্তে ১০ থেকে ২০টি ফাঁদ একই স্থানে তিন রাত ব্যবহার করা হলে বেশি কার্যকর হবে।
রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন ব্যবস্থাপনা
বাংলাদেশে ইঁদুর দমনের জন্য তীব্র বিষ বা একমাত্রা বিষ (যেমন-জিংক ফসফাইড), দীর্ঘস্থায়ী বিষ (যেমন-ল্যানির্যাট, ব্রমাপয়েন্ট, ক্লেরাট) এবং গ্যাস বড়ি (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড) ব্যবহার হয়। দশমিনা বীজ বর্ধন খামারের ২% জিংক ফসফাইড বিষটোপ ব্যবহার করা হয়েছে।এ বিষটোপ ব্যবহারের ক্ষেত্র সমস্যা হচ্ছে ইঁদুরের বিষটোপ লাজুকতা সমস্যা রয়েছে। এখানে টোপ হিসেবে শামুক, চিংড়ি, চাল বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। এসব টোপের মধ্যে চিংড়ি মাছ ও শামুকের তৈরি বিষটোপ ইঁদুর বেশি খেয়েছে। এ বিষটোপ আমন ধানের থোড় আসার পূর্ব পর্যন্ত সময়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
সাবধানতা
যে কোন বিষ মানুষ ও অন্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। এজন্য বিষটোপ বা গ্যাস বড়ি প্রয়োগের সময় ধূমপান ও খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না। বিষটোপ তৈরি ও প্রয়োগের পর হাতমুখ ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
গ্যাসবড়ি দ্বারা ইঁদুর দমন
গ্যাসবড়ি ইঁদুরের প্রজনন সময়ে ও ফসলের থোড় হতে পাকা স্তরে প্রতিটি নতুন গর্তে একটি গ্যাস বড়ি প্রয়োগ করতে হবে। এতে ইঁদুরের বাচ্চাসহ মারা যায় বলে ইঁদুরের পপুলেশন বাড়তে পারেনা। ইঁদুরের গর্ত পদ্ধতিতে অনেকগুলো নতুন মুখ থাকে। সব গর্তের মুখ নরম বা কাদামাটি দিয়ে ভালোভাবে বন্ধ করে দিতে হবে। গ্যাস বড়ি প্রয়োগকৃত গর্তের মুখ পর দিন খোলা পেলে একইভাবে একটি গ্যাসবড়ি প্রয়োগ করতে হবে। গর্তের ইঁদুর দমনের ক্ষেত্রে গ্যাসবড়ি অত্যন্তÍ কার্যকর একটি পদ্ধতি।
সাবধানতা
যে কোন বিষ মানুষ ও অন্য প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। এজন্য বিষটোপ বা গ্যাস বড়ি প্রয়োগের সময় ধূমপান ও খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না। বিষটোপ তৈরি ও প্রয়োগের পর হাতমুখ ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ইঁদুরভোজী প্রাণী : অনেক বন্যপ্রাণী (যেমন-বন বিড়াল, শিয়াল) এবং নিশাচর পাখি (যেমন-পেঁচা) ও সাপ (যেমন-গুইসাপ) এদের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ইঁদুর। এসব প্রাণীদের বংশ বিস্তার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।