যা যা জানতে পারবেন :
কম্পাইলার কাকে বলে ,কম্পাইলার এর কাজ কি?,কম্পাইলার এর সুবিধা ,কম্পাইলার এর অসুবিধা, কম্পাইলারের কাজ করার প্রক্রিয়া বিস্তারিত জানুন ।
কম্পাইলার : কম্পাইলার এক ধরনের অনুবাদক প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম-সমষ্টি যা কোন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার (উৎস কোড) প্রোগ্রামকে একবারে কম্পিউটার লো লেভেল/মেশিন ভাষায় (অবজেক্ট) অনুবাদ করে।
সাধারণত সব প্রোগ্রামের সোর্সকোড থেকে মেশিনকোডে রূপান্তরের কাজটি কম্পাইলার করে থাকে। কম্পিউটার মেশিনকোড ছাড়া কিছু বুঝে না , তাই কম্পাইলার প্রয়োজন ।
প্রক্রিয়া : কম্পাইলার সোর্সকোডকে =>> অ্যাসেম্বলি কোডে পরিনত করে, পরবর্তীকালে অ্যাসেম্বলার( অনুবাদক প্রোগ্রাম ) অ্যাসেম্বলি কোডকে মেশিনকোড এ পরিনত করে। কম্পিউটারের মাইক্রোপ্রসেসর এই মেশিনকোড বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী প্রোগ্রাম এক্সিকিউট করে।
সোর্সকোড =>> অ্যাসেম্বলি কোড ==>> মেশিনকোড
কম্পাইলার ও ইন্টারপ্রেটার এর পার্থক্য ?
কম্পাইলারের কাজ :
- ১। উৎস বা সোর্স (কোড) প্রোগ্রামের স্টেটমেন্ট সমূহকে মেশিন ভাষায় রূপান্তর।
- ২। সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটি একবারে অনুবাদ করে ।
- ৩ । সংশ্লিষ্ট সাব-রুটিন এর সাথে সংযোগের ব্যবস্থা প্রদান।
- ৪। প্রধান মেমোরির পরিসর চিহ্নিতকরণ ।
- ৫। কোড ভুল থাকলে অনুবাদের সময় ভুলগুলো মনিটরে দেখায় ।
কম্পাইলারের সুবিধা :
- ১। কম্পাইলার সম্পূর্ণ প্রোগ্রামটিকে একসাথে অনুবাদ করে। ফলে প্রোগ্রাম নির্বাহ দ্রুত হয়।
- ২। কম্পাইলারের মাধ্যমে প্রোগ্রাম সম্পূর্ণরূপে মেশিন ভাষায় রূপান্তরিত হয়।
- ৩। একবার প্রোগ্রাম কম্পাইল করা হলে পরবর্তিতে আর কম্পাইলের প্রয়োজন হয় না।
- ৪। প্রোগ্রামে কোন ভুল থাকলে তা মনিটরে একসাথে প্রদর্শন করে।
কম্পাইলারের অসুবিধা :
- ১। কম্পাইলার প্রোগ্রামের সবগুলো ভুল একসাথে প্রদর্শন করে ফলে প্রোগ্রাম সংশোধনে বেশি সময় লাগে।
- ২। কম্পাইলার বড় ধরনের প্রোগ্রাম হওয়ায় ইহা সংরক্ষণে মেমরিতে বেশি জায়গা প্রয়োজন।
- ৩। প্রোগ্রাম ডিবাগিং ও টেস্টিং এর কাজ ধীরগতি সম্পন্ন।