সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে কিছু চমৎকার তথ্য যা জেনে আপনিও চমকে যাবেন :
১. সুইজারল্যান্ডে যত বিয়ে হয় তার প্রায় অর্ধেক শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদে(Divorce) গড়ায়।

২. রাতে তুষারপাত হলে তবে এক রাতেই বাড়ির ছাদে ও রাস্তায় বরফের স্তূপ জমে যায়। তবে চিন্তার কিছু নেই। কারণ সকাল ৮টার মধ্য দেশের সব রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলে কর্তৃপক্ষ।

৩.যদি ভবিষ্যতে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হয়, সুইজারল্যান্ডে সকল মানুষকে লুকিয়ে ফেলার মত যথেষ্ট আয়তনের বাংকার তাদের ঘরবাড়ির নিচে আছে।

৪.ভবিষ্যতে যুদ্ধাবস্থা বিবেচনা করে এখানকার রাস্তা এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে প্রয়োজনে রাস্তার বিভিন্ন স্তর গুলো সরিয়ে প্রতিটি রাস্তাকে সহজেই বিমানের রানওয়েতে পরিণত করা যাবে।
৫. বিমানবাহিনীর পাইলটরা ট্রেনিংয়ের সময় কখনো সুপারসনিক গতিতে বিমান চালাতে পারে না। কারণ, দেশটি এত ছোট যে এই গতিতে বিমান চালালে নিমিষেই তা অন্য দেশের আকাশে চলে যাবে। তবে, সম্প্রতি তারা ফ্রান্সের আকাশ ব্যবহারের একটি চুক্তি করেছে।
৬. সুইজারল্যান্ডে নাগরিকত্বের আবেদন করতে হলে আপনাকে কমপক্ষে বারো বছর বসবাস করতে হবে।

৭. বিশ্বে সর্বাধিক পরিমাণ চকোলেট উৎপাদিত হয় সুইজারল্যান্ডে।

৮. সুইজারল্যান্ডের আদি নাম হেলভেশিয়া।

৯. সুইস চকোলেট উৎপাদক হেনরি নেসলে এবং ডেনিয়েল পিটার মিলক চকোলেট উদ্ভাবন করেন।

সুইজারল্যান্ডের চকোলেট নির্মাতারা এমন চকোলেট বানানোর চেষ্টায় রয়েছেন যাতে স্বর্ণ মিশ্রিত থাকবে। অর্থাৎ, খাওয়ার যোগ্য সোনা উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন তারা।
১০. লুসানে শহরে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের জন্য জনগণ যে ট্যাক্স দেয়, তা কমাতে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে তাদের ময়লা ফেলার বিনকে উন্নত করা হয়েছে। এটি কিনতে হবে এবং কেনার সময়ই ট্যাক্স কেটে রাখা হবে। কাজেই আপনি যত বেশি বিন ব্যবহার করবেন তত বেশি ট্যাক্স দিতে হবে। আর বিন ব্যবহার না করে বাইরে ময়লা ফেললে বড় বিপদে পড়বেন।

১১. দেশের আকার ছোট হলেও সুইজারল্যান্ডে চারটি অফিসিয়াল ভাষা রয়েছে। এগুলো হলো : জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান এবং রোমান( French, German, Italian, Romansh )। সুইসরা যখন ইংরেজিতে কথা বলেন তখন তা বেশ মজার বিষয় হয়ে ওঠে। এদের জার্মান ভাষা প্রচলিত ক্ল্যাসিক জার্মান ভাষা থেকে ভিন্ন। একে বলা হয় ‘সুইস জার্মান’। তবে এই ভাষায় কিছু লেখা হয় না। কারণ লিখিত সুইস জার্মান কেউ বোঝেন না। সুইজারল্যান্ড (জার্মান: die Schweiz ডি শ্বাইৎস, ফরাসি: la Suisse লা স্যুইস্, ইতালীয়: Svizzera স্বিৎস্স্রা, রোমানশ: Svizra স্বিৎস্রা) (সোর্স : Wikipedia )
১২.সম্পূর্ণ সুইজারল্যান্ডকে যদি বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়, তবে তা বাটন দাবানোর মাধ্যমেই সম্ভব। কারণ, এ দেশে প্রবেশের প্রতিটি পথ ও টানেলের মুখে স্টিলের টিউব দেওয়া রয়েছে যা সুইচ টিপলেই বন্ধ হয়ে যাবে। যুদ্ধের সময় বিবেচনা করে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানকার প্রতিটি ব্রিজে বোমের বক্স রয়েছে। রাস্তার প্রতিটি দিক নির্দেশকারী চিহ্ন সংবলিত সাইনবোর্ড একটি বোতামের চাপেই খুলে পড়ে যাবে।

১৩. সুইজারল্যান্ডে গাড়িগুলো সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। গাড়ি পরিষ্কার না থাকলে একটি মামলা খেতে পারেন আপনি।
১৪. বহু প্রতিষ্ঠান এমন কর্মীদের নিয়োগ দেয় যার প্রয়োজন হয় না। তাদের সমাজ স্বল্প বেকারত্বের হারকে আরো কমিয়ে আনতে সচেতন।
১৫.সুইজারল্যান্ডে শিক্ষকতা সর্বাধিক বেতনের চাকরিগুলোর একটি।

১৬. বিশ্বের অধিকাংশ বিলাসবহুল ঘড়ি সুইজারল্যান্ডে উৎপাদিত হয়। Tissot, TAG Heuer, Rolex এবং Patek Philippe এর মত অভিজাত ঘড়িগুলো আসে সুইজারল্যান্ড থেকে। রোলেক্স কোম্পানি বিশ্বে প্রথম পানিনিরোধী ঘড়ি তৈরী করে ১৯২৭ সালে সুইজারল্যান্ডে।

১৭. স্নো-বোর্ডিং, স্কিইং এবং পাহাড়ে চড়া সুইজারল্যান্ডের জনপ্রিয় খেলা।
১৮. Assisted Suicide বা অন্যের সাহায্যে আত্মহত্যা এদেশে আইনতঃ বৈধ।
১৯. নেসক্যাফে, পৃথিবীর প্রথম ইনস্ট্যান্ট কফি আবিষ্কৃত হয় সুইজারল্যান্ডে।

২০. ব্যাংকের ক্যাশিয়াররা এইদেশে বুলেটপ্রুফ কাঁচে সুরক্ষিত থাকে।

২১. সুইজারল্যান্ড ই একমাত্র দেশ যে দেশে সৌরচালিত বিমান নির্মিত হয়েছে।

২২. সুইজারল্যান্ডের মানুষরা গণপরিবহন নিয়ে বেজায় সন্তুষ্ট। বাস, ট্রেন, নৌকা, ক্যাবল কার ইত্যাদির ব্যবহার দিয়ে মাত্র একটি টিকিট দিয়ে দেশের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারবেন। মাত্র ২০ মিনিট পর পর যেকোনো স্থানে ট্রেন পাবেন।
২৩. দুই বছর ধরে বেকার থাকলে ভাতা দেয় সরকার। এটা অনন্য দৃষ্টান্ত হলেও এতে সংযুক্ত রয়েছে চিত্তবিনোদনের জন্য ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদির ভাতা।
২৪. সুইজারল্যান্ডে ২০৮ টি পর্বত আছে, যাদের উচ্চতা ৩০০০ মিটার চেয়ে বেশি।

২৫. সুইজারল্যান্ডের মুদ্রার নাম সুইস ফ্রাংক এবং বাৎসরিক স্থূল দেশজ উৎপাদের পরিমাণ ৫১২.১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাংক (২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ)।